বৃত্তান্ত
বাংলা সাহিত্যের প্রথম দিকের গোয়েন্দা কাহিনী লেখকদের মধ্যে পাঁচকড়ি দে অন্যতম। “নীল বসনা সুন্দরী” পড়ে বুঝলাম সেই সময়ে এই বইটি কেন এত পাঠকপ্রিয় হয়েছিল এবং প্রথম সার্থক গোয়েন্দা কাহিনীর তকমা পেয়েছিল।
ঘটনা সাজানো, টুইস্ট গুলো, চরিত্র বর্ণনা সবই ভালো। শুধু গোয়েন্দা ভদ্রলোককে বোকা লেগেছে।গোয়েন্দা কাহিনীতে যেভাবে গোয়েন্দাদের তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং অনেক গুণসম্পন্ন দেখানো হয় এই বইতে সেটা একেবারেই ছিল না।
প্রথমদিকে বেশ লাগছিলো। অন্ধকার রাত, কুয়াশা, কয়েক মিটার পর পর কেরোসিন এর লণ্ঠন, প্রাচীন কলকাতা, রাস্তায় কুকুর, শিয়াল, হিন্দী কনভারসেসন…কিন্তু চতুর্থ খণ্ডের পর থেকেই কেমন টানটান ভাবটা কেটে যায়। উপন্যাস টাকে কেমন যেন দীর্ঘায়িত করার প্রচেষ্টা। মোবারক চরিত্রটা বেশ ইন্টারেস্টিং। কেতাবি-র লাইব্রেরীতে বইটির সন্ধান পাই, সেখানে বইটি পড়ে দেবেন্দ্রবিজয়কে অতি সাধারণ কেউই মনে হয়েছে যে বার বার হোঁচট খাচ্ছিল খুনীর বুদ্ধির কাছে, তারপরও তিনি তদন্ত চালিয়ে গিয়েছেন তার নিজস্ব গতিতে। তবে শেষপর্যায়ে মনে হয়েছে, রহস্যের দৈবাত সামাধান দেবেন্দ্রবিজয়ের কষ্টটা অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে।
সব মিলিয়ে বেশ ভালো তবে আরো আগে শেষ হলে ভালো হত। তবে বাংলা সাহিত্যের ঊষালগ্নে এরকম থ্রিলিং উপন্যাস সত্যিই ভাবা যায় না।
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.